ঢাকা,সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ইসপার উন্নয়নসহায়তা কর্মসুচিতে

সুরক্ষাসেবায় ৫৩ হাজার উপকারভোগী সার্ভিস প্রোভাইড -ইউএনও 

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় মাঠপর্যায়ে লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে কাজ করছেন বেসরকারি উন্নয়নমূলক সংগঠন “ইয়াং পাওয়ার ইন সোসাল এ্যাকশান” ইপসা। উপজেলার উল্লেখিত অঞ্চলে সংস্থার প্রকল্পের উদ্দেশ্যের মধ্যে রয়েছে, প্রতিটি এলাকায় লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা কমিয়ে আনা এবং বন্ধ করা, ভিকটিমকে সহিংসতা থেকে সুরক্ষাদানে সহযোগিতা করা, সমাজে সহিংসতার ঝুঁিক কমানো এবং অবহেলিত নারীদের আত্ব-নির্ভরশীল হতে সহায়তা করা।
ইপসা চকরিয়া উপজেলা ম্যানেজার ফিরোজা বেগম ঝুমুর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান। এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ইপসার টেকনিক্যাল এডভাইজার শমসের উদ্দিন মোস্তফা। সেমিনারে সম্মানিত অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা.শোভন দত্ত, চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী, মাতামুহুরী পুলিশ ফাড়ির ইনর্চাজ পুলিশ পরিদর্শক আবদুল জব্বার।
এছাড়া অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মতামতমুলক বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন, আইআরসির টেকনিক্যাল ম্যানেজার সুলতানা রাজিয়া। অংশগ্রহনকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থা সমুহের প্রতিনিধি, এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যসেবা দানকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক সুধীজন।
সেমিনারে চকরিয়া উপজেলা ম্যানেজার ফিরোজা বেগম ঝুমু ইপসার প্রকল্প কার্যক্রম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ইপসার উদ্যোগে চকরিয়া উপজেলার পাঁচটি নারী ও কিশোরী সেবা কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬০০ জনকে কেইস মেনেজম্যান্ট সেবা দিয়েছে। একইভাবে ৩৪ হাজার ৫০০ মানুষের মাঝে কোভিট ১৯ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দুরিকরণে সচেতনতা বিষয়ক কাউন্সিলিং করা হয়েছে।
পাশাপাশি উপজেলার সাহারবিল, চিরিঙ্গা, পশ্চিম বড়ভেওলা, পুর্ববড় ভেওলা, বদরখালী, ঢেমুশিয়া, বিএমচর, কোনাখালী, কাকারা, সুরাজপুর-মানিকপুর, বমুবিলছড়ি, লক্ষ্যারচর, কৈয়ারবিল, বরইতলী ও হারবাং ইউনিয়নসহ মোট ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকায় উল্লেখিত বিষয়ের আলোকে স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যক্রম গতিশীল করতে স্থানীয় রাজনৈতিক, পেশাজীবি সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সভাও করেছে।
তিনি বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা ও সুরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নারীদের সঙ্গে পুরুষদের সম্পৃক্ততায় মোট ১৮ হাজার ৬০০ জনকে বিভিন্ন সচেতনতামুলক কার্যক্রম যুক্ত করা হয়েছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান বলেন, বাল্যবিয়ে এবং সামাজিক নানা অসঙ্গতির সুযোগে নারী শিশু নির্যাতন বাংলাদেশে একটি অভিশাপ হয়ে দাঁিড়য়েছে। আবার এই প্রবণতা বাড়ার পেছনে সমাজের একশ্রেণীর মানুষ জড়িত। তাঁরা সহযোগিতা দেন বলে গোপনে বাল্যবিয়ের প্রভাব এখনো সমাজে দেখা মেলে।

পাঠকের মতামত: